প্রশ্ন: বিদ‘আত কাকে বলে? বিদ‘আতী ইমামের পিছনে নামাযের হুকুম কি?
উত্তর:
বিদ‘আতের সংজ্ঞা:
ফতোয়ার কিতাবসমূহে বিদ‘আতের সংজ্ঞা এভাবে এসেছে—
البدعة: إدخال ما ليس من الدين في الدين
অর্থাৎ, যে আমল দীন ও শরীয়তের অংশ নয়, তাকে দীন ও শরীয়তের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়াই বিদ‘আত। (فتاوی شامي: 1/560، رد المحتار)
ইমাম শাতিবী রহ. বলেন:
البدعة طريقة في الدين مخترعة، تضاهي الشرعية، يقصد بالسلوك عليها المبالغة في التعبد لله تعالى
অর্থাৎ, “বিদ‘আত হলো দীন-এর মধ্যে নবউদ্ভাবিত এমন একটি পন্থা, যা শরীয়তের মতো দেখায়, এবং এর দ্বারা উদ্দেশ্য থাকে আল্লাহর ইবাদতে অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া।” (الاعتصام للشاطبي: 1/37)
বিদ‘আতী ইমামের পিছনে নামাযের হুকুম
১. বিদ‘আত যদি কুফরী বিদ‘আত হয়, যেমন—এমন বিদ‘আত যা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস ধ্বংস করে। তখন সে বিদ‘আতী মুরতাদ গণ্য হবে। তার পিছনে নামায পড়া হারাম ও বাতিল।*(فتاوی شامي: 1/565، رد المحتار)
২. বিদ‘আত যদি আমলী/ফিকহী বিদ‘আত হয়, যেমন—মীলাদ- কিয়াম, নামাযে নতুন কিছু যোগ করা ইত্যাদি। এগুলো কুফরী নয়, তবে গুনাহের কাজ। তার পিছনে নামায আদায় হয়ে যাবে, তবে তা মাকরূহে তাহরীমী।(فتاوی عالمگيری: 1/84؛ فتاوی شامي: 1/565)
ফতোয়ায়ে আলমগীরীতে রয়েছে,
إن صلّى خلف مبتدع لا يكفر ببدعته، تجوز مع الكراهة. (فتاویٰ عالمگیری، 1/84)
অর্থ: যদি এমন বিদ‘আতীর পিছনে নামায হয়, যার বিদ‘আত কুফর নয়, তবে নামায হয়ে যাবে; তবে মাকরূহ হবে।
ফতোয়ায়ে শামীতে রয়েছে,
تجوز الصلاة خلف أهل الأهواء والبدع إذا لم تكن بدعتهم مكفرة (رد المحتار، 1/565)
অর্থ: যে বিদ‘আত কুফরী পর্যায়ের নয়, তার পিছনে নামায আদায় হয়ে যাবে।