بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

গঠনতন্ত্র

  • ১। প্রতিষ্ঠানের নাম: জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানা
  • ২। ঠিকানা: ৮৮/এ, শের শাহশুরী রোড, ব্লক-ডি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
  • ৩। প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৮৬ ইং
  • ৪। মূলনীতি আদর্শ ও উদ্দেশ্য:
  • (ক) কোরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে দারুল উলূম দেওবন্দের অনুকরণে একটি বেসরকারী অবৈতনিক জাতীয় জামি‘আ প্রতিষ্ঠা করা, যা দীনের হেফাযত, ইলমে দীনের প্রচার-প্রসার ও সুন্নতে নববীর বাস্তবায়নে সহায়ক হবে এবং এমন ধরণের অনুপ্রেরণা ও যোগ্যতাসম্পন্ন আলেম তৈরী করবে যারা দেশ, জাতি ও ইসলামের জন্য আত্নোৎসর্গ করতে সর্বদা নিবেদিত প্রাণ থাকবে।
  • (খ) উক্ত মাদরাসাটি সম্পন্নভাবে একটি অরাজনৈতিক দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
  • (গ) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা ও হানাফী মাযহাবের অনুসরণ করা।
  • (ঘ) মুসলমানদের যাবতীয় দানকৃত সম্পদের পবিত্র আমানতরূপে হেফাযত করা এবং উহার সুষ্ঠু ব্যবহার করা।
  • (ঙ) মুসলমানদের কলিজার টুকরা সন্তানদের জীবনকে মহা আমানত মনে করে তাদের ইহকালীন ও পরকালীন সফলতার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তা‘লীমের পাশাপাশি তরবিয়তের ব্যবস্থা করা।
  • (চ) মূল আরবী কিতাবের মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা এবং প্রাথমিক শ্রেণীসমূহে বাংলা, অংক,ও ইংরেজী ইত্যাদির মাধ্যমে যুগোপযোগী সুশিক্ষার ব্যবস্থা করা।
  • (ছ) ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দীনি শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত উস্তাদ, আলেম, হাফেয, কারী, মুফতী, মুহাদ্দিস ও দীনের খাদেম তৈরী করা এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় খেদমতের উপযোগী করে তোলা।
  • (জ) মুসলিম মিল্লাতের ঈমান-আকীদা এবং ইসলামের পরিপন্থী নাস্তিক্যবাদী পাশ্চাত্য সভ্যতা, শিরক্, বিদ‘আত ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিকার অব্যাহত রাখা, আমর বিল মা‘রূফ ও নাহী আনিল মুনাকরের মাধ্যমে শিরক্-বিদ‘আত ইত্যাদি সমাজ থেকে উৎখাতের জন্য সচেষ্ট থাকা।

৫। আল্লাহ না করুন যদি কোন সংগত কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠানটির বিলুপ্তি ঘটে, তাহলে পরিচালনা পরিষদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত প্রতিষ্ঠানের সমুদয় দায়-দেনা পরিশোধান্তে উদ্ধৃত্ত তহবিল এই ধরণের যে কোন ইসলামী প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করা যাবে।

৬। সদস্য হওয়ার যোগ্যতা:

  • (ক) ছাত্র অভিভাবক: অত্র জামি‘আয় নিয়মিত পাঠরত ছাত্রের ধর্মীয় ভাবাপন্ন শিক্ষিত অভিভাবকগণই পরিচালনা পরিষদের সদস্য হতে পারবে।
  • (খ) শিক্ষক প্রতিনিধি: পদাধিকারবলে অত্র জামি‘আর প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল /শিক্ষা সচিব পরিচালনা পরিষদের সদস্য হতে পারবে।
  • (গ) চাঁদাদাতা: পরিচালনা পরিষদ গঠনের অন্তত এক বছর পূর্বে যারা এককালীন ন্যূনতম ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দান করেছে তারা পরিচালনা পরিষদের সদস্য হতে পারবে।
  • (ঘ) ভূমিদাতা: যারা অত্র জামি‘আর জন্য কোন প্রকার স্থাবর সম্পত্তি দান করেছে তারা পরিচালনা পরিষদের সদস্য হতে পারবে।
  • (ঙ) বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অত্র জামি‘আর মূলনীতি, আদর্শ-উদ্দেশ্য, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ও হানাফী মাযহাবের পুরোপুরি পাবন্দ, শিক্ষিত, দীনদার পরহেযগার লোকদের মধ্য হতে সদস্য গ্রহণ করা যেতে পারে।

৭। সদস্য পদ বাতিলের কারণ:

  • (ক) যদি কোন সদস্যের মৃত্যু ঘটে।
  • (খ) স্বেচ্ছায় কোন সদস্য তার সদস্য পদ হতে ইস্তেফা দিলে।
  • (গ) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ও অত্র জামি‘আর স্বার্থের পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকলে।
  • (ঘ) যদি কোন সদস্য সংগত কারণ ব্যতীত একাধারে তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকে।

৮। শূন্য সদস্য পদ পূরণ: কোন কারণে যদি কোন সদস্য পদ শূন্য হয়, তাহলে পরিচালনা পরিষদ শূন্য পদে কো-অপট -এর মাধ্যমে তা পূরণ করতে পারবে।

৯। এটি একটি সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পরিষদ, যার হাতে অত্র জামি‘আর সকল বিভাগের সামগ্রিক পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে।

১০। পরিচালনা পরিষদের অধিকার ও দায়িত্ব:

  • (ক) জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানার মূলনীতি প্রণয়ন, সংরক্ষণ পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক প্রয়োজনবোধে তা পরিবর্তন পরিবর্ধন করা।
  • (খ) অত্র জামি‘আর মূলনীতি, আদর্শ-উদ্দেশ্যকে সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করা।
  • (গ) অত্র জামি‘আর শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ, বরখাস্ত, পদোন্নতি, পদাবনতি, বেতনের হার, পদমর্যাদা, দায়িত্ব ও অধিকারসমূহ নির্ধারণ এবং আবশ্যকবোধে কোন নতুন পদ সৃষ্টি বা কোন পদের বিলুপ্তি সাধন করা।
  • (ঘ) অত্র জামি‘আর বিভিন্ন বিভাগ স্থাপন, একাধিক বিভাগকে একত্রিকরণ এবং আবশ্যকবোধে কোন বিভাগ বিলুপ্তিকরণ।
  • (চ) প্রয়োজনবোধে অত্র জামি‘আর জন্য জমি ক্রয় বা বিক্রয়,নির্মাণ, মেরামত ও সম্প্রসারণকরণ।
  • (ছ) পাঠ্য তালিকা ও কারিকুলাম প্রণয়ন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনকরণ।
  • (জ) শিক্ষক ,কর্মচারী বা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শ্রবণ ও যথাযথ সিদ্ধান্ত প্রদান করা।
  • (ঝ) বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ও অডিটকরণ।
  • (ঞ) পরিচালনা পরিষদের কার্যকালের মধ্যে যদি কোন সদস্যপদ শূন্য হয়, তবে অবশিষ্ট কার্যকালের জন্য সদস্য মনোয়নের ক্ষমতা পরিচালনা পরিষদের থাকবে।
  • (ট) উল্লিখিত অধিকার ও দায়িত্ব ছাড়াও জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানার অস্তিত্ব রক্ষা, উন্নাতিবিধান, উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য প্রয়োজনীয় বা সহায়ক যে কোন প্রকার ক্ষমতা পরিচালনা পরিষদের থাকবে।
  • (ঠ) জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানার গঠনতন্ত্রটি বিগত……………………………তারিখে পরিচালনা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়।
  • (ড) পরিচালনা পরিষদের কার্যকাল পাঁচ বছর হবে। কমিটির কার্যকাল অতিক্রান্ত হওয়ার দুই মাস পূর্বে মাদরাসা উপদেষ্টামন্ডলী পরবর্তী মেয়াদের জন্য সিলেকশন/ প্যানেলের মাধ্যমে পরিচালনা কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
  • (ঢ) পরিচালনা পরিষদের সদস্য সংখ্যা অনধিক ৩৩ জন হবে এবং ১১জনের কম হবে না। পরিচালনা পরিষদ গঠিত হবে নিম্নলিখিত নির্বাহী পরিষদের সমন্বয়ে।
  1. সভাপতি: ১ জন
  2. সিনিয়র সহসভাপতি: ১ জন
  3. সহ-সভাপতি: ৪ জন
  4. সাধারণ সম্পাদক: ১ জন
  5. সহ-সাধারণ সম্পাদক: ২ জন
  6. সাংগঠনিক সম্পাদক: ১ জন
  7. দফতর সম্পাদক: ১ জন
  8. প্রচার সম্পাদক: ১ জন
  9. কোষাধ্যক্ষ: ১ জন
  10. প্রিন্সিপাল: ১ জন (পদাধিকারবলে)
  11. ভাইস প্রিন্সিপাল/ শিক্ষা সচিব: ১ জন (পদাধিকারবলে)
  12. সদস্য: ১৮ জন

১১। উপদেষ্টা পরিষদ: এলাকার দীনদার গণ্যমান্য, বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে।

১২। পরিচালনা পরিষদের মেয়াদকাল: পরিচালনা পরিষদের মেয়াদকাল ৫ বছর হবে। পরিচালনা কমিটির মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে পরবর্তী মেয়াদের জন্য কমিটি গঠন করার পূর্ব পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ মাদরাসার সার্বিক কার্যকম পরিচালনা করবে।

১৩। পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন:

  • (ক) উপদেষ্টামন্ডলী প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
  • (খ) গঠিত নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরিচালনা পরিষদের প্যানেল আহবান করবেন এবং প্যানেল যাচাই-বাচাই করে এলাকার ইসলামপ্রিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ও তাদের সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত প্যানেলের নাম ঘোষণা করবে।

১৪। পরিচালনা পরিষদের সভা:

  • (ক) পরিচালনা পরিষদের সভা মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে।
  • (খ) পরিচালনা পরিষদের সভা কমপক্ষে তিনদিনের নোটিশে এবং জরুরী সভা চব্বিশ ঘন্টার নোটিশে সাধারণ সম্পাদক সভাপতির সাথে আলোচনাক্রমে আহবান করবেন।
  • (গ) মোট সদস্যের এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পূর্ণ হবে। মুলতবী সভার জন্য কোরামের প্রয়োজন হবে না।

১৫। সভাপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব:

  • (ক) পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ ও বিয়োগ করতে পারবেন।
  • (খ) মাদ্রাসার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি গ্রহণ ও হেফাযত করা।
  • (গ) অত্র জামি‘আর প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান, নির্মাণ, উন্নয়ন, মেরামত ইত্যাদির দায়িত্ব পালন।
  • (ঘ) সভাপতি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সভার কার্য পরিচালনা করবেন এবং প্রয়োজনবোধে আলোচ্যসুচী বহির্ভূত কোন বিষয়ের আলোচনার অনুমতি প্রদান করবেন।
  • (ঙ) সভা চলাকালীন সময়ে সদস্যগণের মধ্যে কোন বিষয়ে মতানৈক্য দেখা দিলে প্রয়োজনবোধে সভাপতি সভা মুলতবী ঘোষণা করতে পারবেন।
  • (চ) সভার কোন বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যদি উপস্থিত সদস্যগণের মাঝে ভোট গ্রহণ করতে হয় ও পক্ষে-বিপক্ষে ভোট সংখ্যা সমান হয়, তবে সভাপতি নিজের ভোট প্রদান করে বিষয়টির মিমাংসা করবেন।
  • (ছ) পরিচালনা পরিষদের কার্য বিবরণী লিখিত হওয়ার পর সভাপতি তা অনুমোদন করবেন।
  • (জ) উপরোক্ত অধিকার ও দায়িত্ব ছাড়াও অত্র জামি’য়ার আদর্শ ও উদ্দেশ্য সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ও সহায়ক যে কোন ধরনের অধিকার পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সভাপতির থাকবে।

১৬। সহ-সভাপতির দায়িত্ব: সভাপতির অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে তিনি সভাপতির সমূদয় দায়িত্ব পালন করবেন।

১৭। সাধারণ সম্পাদকের ক্ষমতা ও দায়িত্ব:

  • (ক) পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন ও সভাপতির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে শিক্ষক, কর্মচারী নিয়োগ ও বিয়োগ করতে পারবেন।
  • (খ) অত্র জামি‘আর যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ করা।
  • (গ) পরিচালনা পরিষদের আলোচ্যসূচী প্রস্তুতকরণ, সভা আহবান, সিদ্ধান্তসমূহের প্রয়োগ ও কার্যকরকরণ।
  • (ঘ) বাজেটের কোন খাতে ঘাটতি বা বাজেট বহির্ভূত কোন খরচ বা সংশোধিত বাজেট পরিচলনা পরিষদের অনুমোদনক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • (ঙ) শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা প্রদান।
  • (চ) বছরান্তে আয়-ব্যয়ের হিসাব অডিট করানো ও অডিট রিপোর্ট অনুমোদনের জন্য পরিচালনা পরিষদের নিকট পেশকরণ এবং বার্ষিক প্রতিবেদনে তা প্রকাশকরণ।
  • (ছ) জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানার যাবতীয় প্রচারপত্র, প্রতিবেদন, রশিদ বই, ক্যাশ বই, ইত্যাদিতে সাধারণ সম্পাদক দস্তখত করবেন।

১৮। সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব: সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে তিনি সাধারণ সম্পাদকের সমূদয় দায়িত্ব পালন করবেন।

১৯। রঈস/প্রিন্সিপালের দায়িত্ব ও অধিকার:

  • (ক) জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানার রঈস/ প্রিন্সিপাল একজন বিশিষ্ট আলেম,পরহেযগার এবং মাদরসার আদর্শ -উদ্দেশ্যের সাথে ঐক্যমত পোষণকারী একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক হতে হবে।
  • (খ) রঈস/ প্রিন্সিপাল অত্র জামি‘আর শিক্ষা সংক্রান্ত সকল বিভাগের তদারক ও শৃংখলা রক্ষার কাজে থাকবেন।
  • (গ) রঈস/ প্রিন্সিপাল বার্ষিক ছুটির তালিক অনুমোদনের জন্য পরিচালনা পরিষদের নিকট পেশ করবেন।
  • (ঘ) ছাত্রাবাসের ছাত্রদের খোরাকী, বাসস্থান,স্বাস্থ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
  • মাদরাসার অভ্যন্তরীণ সকল বিভাগ ও বাহিরের সকল বিষয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও যথাযথ তদারকি করা।
  • প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিচলনা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের মিটিং-এর আয়োজন করা। মিটিং-এর আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করা।
  • প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পরিষদের মিটিং আহবানের ব্যবস্থা করা।
  • পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক গৃহিত সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • ছাত্রদের সুষ্ঠু তালীম-তরবিয়তের লক্ষ্যে সাপ্তাহিক/পাক্ষিক শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা মজলিস করা।
  • বছরের শুরুতে ছাত্র ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের সাথে পরামর্শক্রমে দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া ও সার্বিক তত্ত্বাবধান করা।
  • নতুন ও পুরাতন ছাত্র ভর্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া।
  • ভর্তি ফি আবাসিক চার্জ বিষয়ে ছাত্র/অভিভাবকের কোন ওজর বা আবেদন থাকলে তা শোনা ও বিবেচনা কর ।
  • সকল ছাত্রের নাম-ঠিকানা সহ যাবতীয় তথ্যাবলী প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী রেজিষ্টার খাতায় সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা।
  • কোন ছাত্র মাদরাসার নিয়ম লংঘণ করলে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তা বাস্তবায়ন করা।
  • বার্ষিক সভা, ৩১৩ আজীবন সদস্য সম্মেলন ইত্যাদি প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করা।
  • প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহের আয়োজন করা। বিষেশতঃ রমজান,কুরবানী ও অন্যান্য সময়ে দ্বীনদরদী ভাইদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগীতা আদায়ের পদক্ষেপ গ্রহন করা।
  • রমজানের ক্যালেন্ডার ছাপানো ও প্রচারের ব্যবস্থা করা।
  • ছাত্রদের ছুটির দরখাস্ত অনুমোদন করা।
  • শিক্ষক ও স্টাফদের ছুটির দরখাস্ত অনুমোদন করা।
  • মাদরাসার যাবতীয় খরচাদীর প্রাথমিক অনুমোদন করা।
  • অভ্যন্তরীণ অডিটের পর সরকার অনুমোদিত অডিট ফার্মের মাধ্যমে বাৎসরিক অডিট করানো ও পরিচালনা পরিষদে তা পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন করানো।
  • নির্মান ও উন্নয়ন কাজের তদারকি করা।
  • টি.সি বা চারিত্রিক সনদ সহ যাবতীয় সনদ পত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা।
  • মাদরাসার জরুরী যাবতীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করা।
  • ছাত্রদের আবাসন, খাবার ও শিক্ষক/স্টাফদের বেতন/ভাতার ব্যবস্থাপনা করা।
  • প্রতিষ্ঠানের স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের জিম্মাদারী পালন করা।
  • শিক্ষক/স্টাফ প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বিরোধী কোন কাজে জড়িত হলে সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহন করা। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের মজলিশে শুরা মজলিশে আমেলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
  • শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন হলে মাদরাসার বিধি মোতাবেক প্রাথমিক নিয়োগ দেওয়া। পরবর্তীতে মজলিশে শুরা/মজলিশে আমেলায় চূড়ান্ত নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২০। রঈস/ প্রিন্সিপালের অনুপস্থিতিতে: নায়েবে রঈস/ ভাইস প্রিন্সিপাল তার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।

২১। দফতরে তা‘লীমাতের দায়িত্ব:

  • বছরের শুরুতে শিক্ষকদের মাঝে সবক বন্টনের প্রাথমিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করা এবং মুহতামিম সাহেবের সঙ্গে পরামর্শ করে তা চূড়ান্ত করা।
  • বছরের রাতেই সকল শিক্ষকদের বিশেষ করে নবীন শিক্ষকদেরকে নিয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পর্কে মজলিসের আয়োজন করা।
  • বছরে কয়েকবার বিশেষত বছর শেষে শিক্ষকবৃন্দের পড়ানোর বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া। কোন ত্রুটি সামনে আসলে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বড় ধরনের কোন সমস্যা থাকলে তা মুহতামিম সাহেবের নিকট পেশ করে সংশোধনের ফিকির করা।
  • কোন সরক নিয়মিত না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • বছরের শেষে সরক সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরী করা।
  • প্রতি পরীক্ষার খেয়ারের সময় নেসাব শেষ হওয়া না হওয়ার প্রতিবেদন সাপ্তাহিক/পাক্ষিক মজলিসে পেশ করা।
  • প্রতি মাসের ছাত্র হাজিরা খাতা প্রস্তুত করা এবং হাজিরা খাতা চেকের যাবতিয় এন্তেজাম করা। অনুপস্থিত ছাত্রদের বিষয়ে কানুন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • গোটা বছর উপস্থিত ছাত্রদের পুরস্কৃত করার আয়োজন করা।
  • বহিষ্কৃত ছাত্রদের রেকর্ড সংরক্ষণ করা।
  • পরীক্ষা বোর্ডের সহযোগীতায় সকল পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। এ কাজে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখা।
    1. পরীক্ষার তারিখ মজলিসে আসাতিযায় নির্ধারণ করা এবং ছাত্রদের অবগতির জন্য পরীক্ষার নোটিশ প্রদান করা।
    2. পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে পরামর্শ করে কাজ বন্টন করে নেয়া এবং পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ থেকে শুরু করে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত কাজগুলোর দিন তারিখ নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করা।
    3. পরীক্ষার রুটিন তৈরী করা।
    4. শিক্ষক ও ছাত্রদেরকে পরীক্ষার রুটিন জানানোর ব্যবস্থা করা।
    5. যথা সময়ে শিক্ষকদের নিকট থেকে খসড়া প্রশ্ন সংগ্রহ করে তা সম্পাদনা,যথাসাধ্য নির্ভূল কম্পোজ ও ত্রুটিমুক্ত ভাবে ছাপানোর ব্যবস্থা করা।
    6. ছাত্রদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফিস আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহন করা।
    7. পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র যথা উত্তর পত্রের খাতা, লুজ কাগজ, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র, কলম, স্টাপলার, পিন সহ যাবতীয় আসবাবপত্রের এন্তেজাম করা।
  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা।
  • ফলাফল সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা।
  • পরীক্ষকদের বিল প্রদান করা।
  • ভাউচারের মাধ্যমে পরীক্ষা বাবদ খরচের হিসাব প্রদান করা।
  • গরীব ও প্রতীম ছাত্রদের এমদাদী থানার উপযুক্ততার যাচাই করা।
  • ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে পুরাতনদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এবং নতুনদের দাখেলা পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শ্রেণী নির্ণয় করা।
  • দাখেলা পরীক্ষার এন্তেজাম করা।
  • দাখেলা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা।
  • বেফাক/ইত্তেফাক/আল হাইয়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা ও কাজগুলো আঞ্জাম দেওয়া। যথা-
    1. কুপন লেনদেন করা।
    2. বোর্ডগুলো থেকে আগত জিম্মাদার ও মেহমানদের মেহমানদারী করা।
    3. পরিদর্শকদের সহযোগিতা করা।
    4. নেগরান, পরীক্ষক বাছাই ফরম পুরণ করে বোর্ডে পৌঁছানো।
    5. বেফাক পরীক্ষার্থী বাছাই করা।
    6. বেফাক/ইত্তেফাক/আল হাইয়ার পরীক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফরম পূরণ করে টাকা সহ সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পৌঁছানো ।
    7. বেফাক/ইত্তেফাক/আল হাইয়ার পরীক্ষার ফিস গ্রহণ করা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পৌছানো ।
  • বেফাক/ইত্তেফাক/আল হাইয়ার ফলাফল সংগ্রহ করা।
  • ছাত্রদের সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র তৈরী ও প্রদানের এন্তেজাম করা।
  • তা’লীমাত সংক্রান্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করা।

২২। দারুল ইকামা বিভাগের দায়িত্ব:

  • ছাত্রদের আমল-আখলাক, চাল-চলন, মন-মানসিকতা উন্নত করা এবং অশ্লিল বা নিষিদ্ধ বিষয়াবলীর প্রবণতা থেকে গোটা পরিবেশকে মুক্ত রাখার বিশেষ ফিকির করা।
  • বছরের শুরুতে দারুল ইকামার সকল কানুন ছাত্রদেরকে বিস্তারিতভাবে শুনানোর এন্তেজাম করা।
  • শিক্ষাবর্ষের শুরুতে সকল শ্রেণী ও বিভাগের আবাসিক ছাত্রনের সিট বন্টনের ব্যবস্থা করা।
  • সরকের সময় ব্যতিত অন্য সময়ের পড়া-শুনার রুটিন তৈরী করে দেয়া এবং নেগরানদের মাধ্যমে আবাসিক ছাত্রদের সে রুটিন অনুযায়ী পরিচালিত করা।
  • কোন ছাত্র দারুল ইকামার নিয়ম লঙ্ঘণ করলে তাকে সতর্ক করা। এতে সংশোধন না হলে মুহতামিম সাহেবের সাথে পরামর্শ করে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া।
  • আবাসিক হোস্টেল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সব ধরনের আয়োজন করা।
  • ছাত্রদের পরস্পরে কোন বিবাদ-বিসম্বাদ হলে তা মিমাংসা করা। জটিল বা স্পর্শকাতর বিষয় হলে মুহতামিম সাহেবকে অবহিত করা।
  • কোন ছাত্র মাদরাসার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে পালিয়ে গেলে অভিভাবককে অবহিত করার পর থানায় জি.ডি করার ক্ষেত্রে নেগরানকে দিক নির্দেশনা প্রদান করা।
  • ছাত্রদের আমল আখলাক উন্নত করার লক্ষ্যে মাঝেমধ্যে বুজুর্গানে দ্বীনের মাধ্যমে তরবিয়তী জলসার আয়োজন করা।
  • প্রতিদিন সকাল বিকাল তা’লীম, আমাল ও দু’আর ব্যবস্থা করা।
  • নামাযের আমলী মশকের ব্যবস্থা করা।
  • মাঝে মাঝে ছাত্রদের সামান পত্র চেক করা এবং মোবাইলের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া।
  • মাঝে মাঝে নেগরানদেরকে নিয়ে পরামর্শমুলক বৈঠক করা ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া।
  • দারুল ইকামার হাজিরা খাতাসমুহ প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার চেক করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • ছাত্রদের আমলী রিপোর্ট তৈরীর জন্য রিপোর্ট খাতা তৈরী করা এবং নেগরানদের নিকট পৌঁছে দেয়া।
  • প্রতি পরীক্ষার পর নেগরান কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে এজমালী প্রতিবেদন মজলিসে আসাতিজায় পেশ করা ।
  • নেগরানদের যে কোন গাফলতীর বিষয়ে প্রাথমিক দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
  • বছর শেষে নেগরানদের নেগরানীর প্রতিবেদন পেশ করা।
  • ছাত্র ভর্তির সময় নতুন-পুরাতন সকল ছাত্রের নিরীক্ষনের জিম্মাদারী পালন করা।

২৩। জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানার তহবিল:

  • (ক) জনসাধারণ কর্তৃক দান, চাদা, অনুদান, এককালীন দান, মাসিক চাদা, কোরবানীর চামড়া, যাকাত, ছদকা, সংস্থা বা ব্যক্তির দান দ্বারা মাদরাসার তহবিল গঠিত হবে। উক্ত তহবিল জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানার নামে ব্যাংকে সংরক্ষিত থাকবে এবং তা সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধক্ষের যুগ্ন স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে।

২৪। সাধারণ পরিষদ:

  • (ক) জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানা পরিচালনার জন্য কার্যকরী পরিষদ ছাড়াও কমপক্ষে ১২০ সদস্যের একটি সাধারণ পরিষদ থাকবে। স্থানীয় জনসাধারণ, চাদাদাতাগণ, ছাত্র অভিভাবক ও বিশিষ্টবর্গের সমন্বয়ে তা গঠিত হবে। পরিচালনা পরিষদের সদস্যগণই উক্ত পরিষদ তদারকি করবেন।
  • (খ) প্রতি বছর কমপক্ষে সাধারণ পরিষদের দুইটিসভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় সাধারণ পরিষদের এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পূর্ণ হবে। এই সভায় প্রতিষ্ঠানের বিগত দিনের আয়-ব্যয়, ভবিষ্যত পরিকল্পনা পেশ করা হবে। উপস্থাপিত বিষয়াবলী আলোচনা করে সাধারণ পরিষদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
  • (গ) সাধারণ সম্পাদক সভাপতির সম্মতিক্রমে সাত দিনের নোটিশে সাধারণ পরিষদের মিটিং আহবান করবে। পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নিয়মতান্ত্রিকভাবে উক্ত সভার সভাপতিত্ব করবেন।

২৫। জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ-এর শিক্ষাবর্ষ: হিজরী শাওয়াল মাস হতে রমযান মাস পর্যন্ত।

২৬। শিক্ষাকাল:

  • (ক) মক্তব ও নাযেরা: ২ বছর।
  • (খ) হিফয: ৩-৪ বছর।
  • (গ) কিতাব বিভাগ: ১০ বছর।
  • (ঘ) ইফতা বিভাগ: ১/২ বছর।
  • (ঙ) তাফসীর: ১ বছর।

২৭। অর্থবর্ষ: হিজরী ১ লা শাওয়াল হতে ৩০ রমযান। অথবা, ১ লা জানুয়ারী হতে ৩১ ডিসেম্বর।

২৮। চাকুরীবিধি: জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানার শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকুরীবিধি পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক প্রণীত ও অনুমোদিত হতে হবে।

২৯। গঠনতন্ত্র সংশোধন:

  • (ক) গঠনতন্ত্রে ধারার পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দিলে, সাধারণ পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের মতে হতে হবে। কিন্তু গঠনতন্ত্রে বর্ণিত জামি‘আ ইসলামিয়া বাইতুল ফালাহ ও এতিমখানার মূলনীতি , উদ্দেশ্য-আদর্শের পরিপন্থী কোন ধারা বা উপধারা বা অংশ সংযোজন বা পরিবর্তন করা যাবে না।
  • (খ) যদি কার্যকরী বা পরিচালনা কমিটির উপর পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনরূপ বিরূপ বা জটিলতা দেখা দেয় এবং কমিটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়,এ অবস্থায় উপদেষ্টামন্ডলী একটি এডহক কমিটি তিন মাসের জন্য গঠন করতে পারবেন।
  • (গ) এডহক কমিটি ৯ সদস্যবিশিষ্ট হবে এবং তারমধ্যে একজন আহবায়ক থাকবেন। আহবায়ক প্রধান হিসাবে শেষ কার্যকাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন এবং তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে।
  • (ঘ) যদি এডহক কমিটির আহবায়ক উক্ত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে এডহক কমিটির সদস্যগণের দুই তৃতীয়াংশের মতামতের মাধ্যমে সাত দিনের নোটিশে এলাকার ধর্মপ্রাণ , শিক্ষিত, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারবেন।